শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
চিকিৎসকের অবহেলায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে অকালে প্রান গেল কেরানীগঞ্জের শিশু জান্নাতের।
মোহাম্মদ সাইদঃ- (কেরানীগঞ্জের-ঢাকা)
রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রথম স্হান হয়েও চিকিৎকের অবহেলিত চিকিৎসায় অকালে জীবন দিতে হলো কেরানীগঞ্জে জিনজিরা হুক্কাপট্রি সুমন হোসেনের ২বছরের শিশু জান্নাতের “অভিযোগ পরিবারের”।
স্হানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায় ১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার দুপুরে ছোট শিশু জান্নাত তার বাবার নিজ বাড়ি জিনজিরা হুক্কাপট্টিতে
রান্না ঘরে খেলতে গিয়ে রান্না ঘরে গ্যাসের চুলার উপর গরম তরকারির কড়াইয়ের উপর পরে গেল অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন এশিশু।আশংকাজনক অবস্হায় পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি করান। পরবর্তি ৫ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ২০ মে সোমবার সকাল ৬.০০ টায় মারা যায় নিষ্পাপ দুই বছরের শিশু জান্নাত । আইনের জটিলতা এড়াতে ডিএমপি শাহাবাগ থানার সাহায্যে ময়না তদন্ত ছাড়া মৃত্যদেহ বাসায় নিয়ে আসেন তার পরিবার।
পরবর্তি মৃত শিশুর চাচা মোঃ মামুন সাংবাদিকদের জানান, আমার ভাতিজি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটের
চিকিৎসকের অবহেলার কারনে মৃত্যুবরণ করে । তারা ঠিক মতো কেয়ার করেনি আমাদের শিশুটি আমাদের তদারকি করতে দেয়নি
দেখতে দেয়নি কি চিকিৎসা হচ্ছে আমাদের জানতে বুঝতে দেয়নি।
শুধু হাজার হাজার টাকার ঔষধই কিনে দিলাম এপর্যন্ত । পত্রপত্রিকায় শুনেছি এ হাসপাতাল সম্পুর্ন ফ্রিতে চিকিৎসা করা হয় বাস্তবে এসে একটি সেলাইন ও ফ্রিতে পেলামনা।তাদের চিকিৎসার অবহেলার কারনে একই দিনে ৫/৬ টি শিশু মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক ভুক্তভোগির পরিবার সাংবাদিকদের জানান, ডা. সামন্ত লাল সেন গুপ্ত দায়িত্ব
থাকা অবস্হায় চিকিৎসা খুব তদারকিতে ছিল ঊনার পরের ম্যানেজমেন্ট বর্তমানে খুব খারাপ অবস্হা ! তাদের এ অবস্হার কারনে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে বহু মানুষ ।তাই ডা. সামন্ত লাল সেন(স্বাস্হ্যমন্ত্রী)সাংবাদিকদের মাধ্যম জানাতে চাই আপনি একটু সুনজর দিলেই সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগিরা সেবার মান ফিরে পেত।
কান্নায় জড়জরিত হয়ে মৃত্য শিশু জান্নাতের বাবা সুমন হোসেন বলেন,তাদের ভুলের ও বে-খেয়ালিপনার কারনে অন্য শিশুর মৃতদেহ আমাদের বুঝিয়ে দেয় আমরা বাড়ীতে নিয়ে এসে অন্য দেহ দেখতে পেয়ে পুনরায় মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালে গেলে বহু খোজাখুজির পর আমাদের লাশ ফেরত পাই। আমাদের শিশু চিকিৎসাধীন অবস্হায় আমরা বার্ন ইউনিটের স্টাফ ডাক্তারদের ব্যাবহারে অতিষ্ঠ তাদের গাফলতির কারনে আজ আমার শিশুটি মৃত্যু হয়েছে ।
আমি ও আমার পরিবার তাদের বিরুদ্ধে প্রাধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট মন্ত্রী , স্বাস্হ্য মন্ত্রীর নিকট বিচার চাই। যাতে করে আমাদের মতো অন্য কোন শিশু বা কেও তাদের গাফলতির কারণে অকালে মৃত্যুবরণ না হয়।